Welcome to Consulate General of Bangladesh

News

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল কারিগরী বিশ্ববিদ্যলয়ের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষর

    ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা, শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় এবং গবেষণাধর্মী প্রকাশনা, নিউক্লিয়ার পাওয়ার এবং কৃষি গবেষণায় অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং ইস্তাম্বুল কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. ইসমাইল কোয়ুনজু। এই সহযোগিতামূলক প্রটোকল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা সম্প্রসারণসহ বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্ক আরো সুসংহত ও গতিশীল হবে।

    কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলমের সঞ্চালনায় সহযোগিতামূলক প্রটোকল  স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড.আব্দুল জব্বার খান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, ইস্তাম্বুল কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস রেক্টর অধ্যাপক ড. সুলে ইতির সাতোগলু এবং রেক্টর অধ্যাপক ড. ইসমাইল কোয়ুনজু বক্তব্য রাখেন।

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড.আব্দুল জব্বার খান এই সহযোগিতামূলক প্রটোকল  সাক্ষর মুহূর্তকে একটি স্মরণীয় সময় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন যে এই সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একসাথে কাজ করার সুযোগ তৈরি হলো। ভাইস রেক্টর  অধ্যাপক ড. সুলে ইতির সাতোগলু তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, প্রজেক্ট, প্রকাশনা ও গবেষণালব্ধ ফলাফল বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়দু’টি দারুনভাবে উপকৃত হতে পারে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়দু’টি এ সহযোগিতামূলক প্রটোকল  সাক্ষরের মাধ্যমে প্রথমবারের মত একে অপরের কাছাকাছি আসার সুযোগ সৃষ্টি করলো বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে বিশ্ববিদ্যালয়দু’টি সফটওয়্যার টেকনোলজি, গবেষণা, নিউক্লিয়ার পাওয়ার এবং কৃষি গবেষণা খাত সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারে।

    ইস্তাম্বুল কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. ইসমাইল কোয়ুনজু বলেন যে ১৭৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি গত বছর তাদের ২৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। তিনি দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়কে একই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে ছাত্র-শিক্ষক বিনিময়সহ যৌথভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট ও গবেষণা চালিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করেন। রেক্টর অধ্যাপক ড. ইসমাইল কোয়ুনজু খুব দ্রুতই দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতামূলক  কার্যক্রম শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    কনসাল জেনারেল নূরে-আলম প্রকৌশল ও কারিগরী ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় দুই বিশ্ববিদ্যালয় স্ব-স্ব দেশের অবকাঠামোগত ও কারিগরী সকল ক্ষেত্রে অবদান রাখছে বলে উল্লেখ করেন। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতামূলক স্বাক্ষরিত প্রটোকল বাংলাদেশ- তুরস্ক সম্পর্ককে আরো গভীর ও শক্তিশালীকরণে ভূমিকা রাখবে, এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে কনসাল জেনারেল অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

    পত্রিকায় প্রকাশিত এই সংক্রান্ত নিউজ রিপোর্ট:   https://dainikamadershomoy.com/details/018deb21963f

                                                   https://www.prothomalo.com/education/campus/p98rwxxcbd


    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

    ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা, শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় এবং গবেষণাধর্মী প্রকাশনায় অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় । পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) জনাব মাসুদ বিন মোমেন এর উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান এবং ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আক।

    পররাষ্ট্র সচিব তার বক্তব্যের শুরুতে এই উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পররাষ্ট্র সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণায়  সহযোগিতা সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্ক আরো সুসংহত ও গতিশীল হবে । এ ধরনের উদ্যোগ ও পদক্ষেপের ফলাফল অত্যন্ত ইতিবাচক ও সুদূর প্রসারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এটি দু’দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতাকে আরো বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবে ।

    কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলমের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড.  মাহমুত আক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, চতুর্দশ শতাব্দী থেকে আমাদের দুই অঞ্চলের জনগণ ঐতিহাসিক সম্পর্কে আবদ্ধ। তুরস্কের কামাল আতাতুর্কের আদর্শ, দর্শন ও নীতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণকে অনুপ্রাণিত ও উজ্জ্বীবিত করেছে বলে,  তিনি মন্তব্য করেন। ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. মাহমুত আক বলেন, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, ফলশ্রুতিতে দু’দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।

    এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ- তুরস্ক সম্পর্ককে আরো গভীর ও শক্তিশালীকরণে ভূমিকা রাখবে, এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে কনসাল জেনারেল অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। পত্রিকায় প্রকাশিত এই সংক্রান্ত নিউজ রিপোর্ট:

    Dhaka University signs MoU with Istanbul University on partnership | Prothom Alo 

    https://www.dhakatribune.com/bangladesh/2023/01/04/dhaka-university-signs-mou-with-istanbul-university-for-partnership-exchanges

    https://www.dhakapost.com/campus/164903

    https://www.banglatribune.com/educations



    Consul General Mohammed Nore-Alam participated in the Turkish Cuisine Week held in Balikesir on 20-22 May 2022.


                                                                                                                                                                        



    ইস্তাম্বুলের মেয়র ইক্রেম ইমামওলু এর সাথে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলম গত ১৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে ইস্তাম্বুলের মেয়র ইক্রেম ইমামওলু এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

    সাক্ষাতকালে উভয়ে বাংলাদেশ-তুরস্ক এর মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। মেয়র ইক্রেম ইমামওলু ঢাকা সিটিকর্পোরেশন ও ইস্তাম্বুল মেট্রোপলিটন মিউন্যাসিপালিটি্র মধ্যে নাগরিক সেবা, পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বজ্র্য-ব্যবস্থাপনা ও সৌন্দর্য-বর্ধন সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির প্রস্তাবনা দেন। তিনি কনসাল জেনারেলের মাধ্যমে ঢাকা সিটিকর্পোরেশনের মেয়রকে ইস্তাম্বুল সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে কনসাল জেনারেল নূরে-আলম মেয়র ইমামওলুকে সুবিধাজনক সময়ে ঢাকা সফরের নিমন্ত্রণ জানান। কনসাল জেনারেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের গৌরবময় জীবন-সংগ্রাম ও কীর্তি কে ইস্তাম্বুলে আরো বড় পরিসরে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন।

    মেয়র ইক্রেম ইমামওলু বলেন, দু’দেশের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃপ্রতীম ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা প্রদানে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকান্ডে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন ।  

    কনসাল জেনারেল নূরে-আলম মেয়রকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নকশীকাঁথা উপহার দেন।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                  



    ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলি ইয়েরলিকায়া এর সাথে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেলের সৌজন্য সাক্ষাৎ 

    ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল জনাব মোহাম্মাদ নূরে-আলম গত ৩০ জুন ২০২২ তারিখে ইস্তাম্বুলের গভর্নর জনাব আলি ইয়েরলিকায়া এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত  করেন।

    সাক্ষাতকালে উভয়ে বাংলাদেশ-তুরস্ক এর মধ্যকার বিরাজমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। কনসাল জেনারেল রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশকে সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য তুরস্কের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক ফোরামে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে রোহিঙ্গা সংকটের আশু সমাধানের জন্য তুরস্কের সরকার ও জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত  থাকবে  বলে গভর্নর জনাব আলি ইয়েরলিকায়া প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ব্যক্ত করেন। কনসাল জেনারেল নূরে-আলম দুই ঐতিহাসিক নগরী- ঢাকা ও ইস্তাম্বুল- এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা (সিস্টারসিটি) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনা দেন। উভয় পক্ষ এই ব্যাপারে একত্রে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল উভয় দেশের মধ্যকার বানিজ্য ০২ (দুই) বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে তুরস্ক সরকারের উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে গভর্নর বানিজ্য-বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ।

    গভর্নর জনাব আলি ইয়েরলিকায়া বলেন, বাংলাদেশ-তুরস্ক ভ্রাতৃপ্রতীম রাষ্ট্র। ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা প্রদানে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সাথে কাজ করতে গভর্নর-অফিস বদ্ধ-পরিকর বলে, গভর্নর মন্তব্য করেন।

    কনসাল জেনারেল নূরে-আলম ইস্তাম্বুল গভর্নরকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নকশীকাঁথা উপহার দেন।